কেনাকাটা করা তো অনেক ঝামেলার কাজ তাই না? তাহলে জেনে নিন আপনার এই ঝামেলার কাজগুলো কিছুটা সহজে করার টিপস্।
১) কি কি কিনবেন একটা লিস্ট বানিয়ে ফেলুন কাগজ কলম নিয়ে। তাহলে কোন কিছু ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। কারণ ভুলে গেলে আপনাকে একবারের বদলে দুইবার আসতে হবে মার্কেটে।
২) বাজেট ঠিক করে ফেলুন। কোন খাতে কত খরচ করবেন সম্ভব হলে সেটাও লিস্ট এর পাশে ছোট করে লিখে ফেলুন।
৩)কোন মার্কেট থেকে কিনবেন সেটা ঠিক করে ফেলুন। চেষ্টা করুন বড় কোন মার্কেটে যেতে যেখানে এক জায়গায় সব ধরনের দোকান আছে। তাহলে আপনার সময় বাঁচবে অনেকখানি।
৪)যাদের জন্য কেনা-কাটা করবেন তাদেরকে সঙ্গে নেয়া সম্ভব না হলে তাদের পছন্দ অপছন্দ জেনে নিন।
৫) আপনার পরিবারের কাউকে সঙ্গে নিয়ে নিন। অথবা কেনাকাটায় অভিজ্ঞ কোন বন্ধুকে সঙ্গে নিন। আপনার শপিং করতে বিরক্তি চলে যাওয়ার পাশাপাশি ভালো আইডিয়াও পাবেন।
৬) ছুটির দিনে মার্কেটে ভিড় বেশি হয়। তাই সম্ভব হলে অন্য কোনো দিন যাওয়াই ভালো। মার্কেট খোলার পর পর অথবা দুপুরে তুলনামূলকভাবে ভিড় কম থাকে। তাই ভিড় এড়িয়ে কেনাকাটা করার জন্য এই সময়গুলো বেছে নিতে পারেন।
৭) মার্কেটে যাওয়ার জন্য সানস্ক্রীন লাগিয়ে নিন। সঙ্গে একটি ছাতা ও টিস্যু পেপার রাখুন। আরামদায়ক পোশাক পরার চেষ্টা করুন। রোদে পা পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকলে পায়ে সুতি মোজা পরে নিতে পারেন। শপিং করতে গিয়ে নিশ্চয়ই আপনি নিজের সৌন্দর্য ম্লান করতে চান না?
৮) সঙ্গে বাচ্চা গেলে বাচ্চার খাবার ও পানি রাখুন।
৯) ব্যাগ ও পকেট সামলে রাখুন। ঈদের আগে মার্কেটের ভিড়ে ব্যাগ কেটে অথবা চেইন খুলে টাকা চুরি হয়।পকেটমারের সংখ্যাও অনেক বেড়ে যায়।
১০) একটু বড় ও জনপ্রিয় দোকান থেকে কেনাকাটা করার চেষ্টা করুন। বড় দোকানে সাধারণত সাইজ এবং কালেকশান বেশি থাকে।
১১) পোষাক কেনার সময় কাপড়ের কোয়ালিটির দিকে নজর দিন। এমন কাপড় কিনুন যেটা ফেঁসে যাওয়া বা রঙ উঠে যাওয়ার ভয় কম।
১২) পোষাকের সাথে মিলিয়ে লেস-ফিতা কিনতে চাইলে ভালো করে খেয়াল করুন পরিমাপে ঠিক দিচ্ছে কিনা।
১৩) রেডিমেড কাপড় কিনলে অবশ্যই সাইজ সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে কিনুন। ট্রায়াল রুম থাকলে পরে দেখে নিন। আর পরে দেখা সম্ভব না হলে পোষাকের মাপ সাথে রাখুন।
১৪)প্রসাধনী কিনতে অবশ্যই ভালো বড় দোকানে যাবেন। যেন-তেন দোকান থেকে প্রসাধনী কেনা উচিত নয়। কেনার সময় মেয়াদ দেখে কিনবেন।
১৫)গহনা কেনার সময় ভালো করে দেখে নিন সব স্টোন ঠিক মত লাগানো আছে কিনা। গ্যারান্টি কার্ড নিয়ে আসুন সম্ভব হলে। দামি গহনা শপিং ব্যাগে না রাখাই ভালো। আপনার হান্ড ব্যাগে গহনাগুলো যত্ন করে রাখুন।
১৬) জুতা কেনার সময় ম্যাটেরিয়্যাল ভালো কিনা দেখে নিন। পায়ে দিয়ে সাইজ ও আরামদায়ক কিনা দেখে কিনুন।
১৭)বাসা থেকে কিছু মজবুত শপিং ব্যাগ নিয়ে আসুন। কারন দোকান থেকে দেয়া নিম্নমানের কাগজের ব্যাগ ছিঁড়ে গেলে আপনি বিপদে পরতে পারেন।
১৮) শপিং ব্যাগ গুনে রাখুন। প্রতিবার দোকান থেকে বের হওয়ার সময় খেয়াল করুন আপনার হাতে সবগুলো ব্যাগ ঠিকঠাক আছে কিনা।
১৯) সিঁড়ি দিয়ে না উঠে লিফট বা এস্কেলেটর ব্যবহারের চেষ্টা করুন। এতে আপনার ক্লান্তি কিছুটা হলেও কম হবে।
২০) ব্যাগে এক বোতল পানি ও কিছু খেজুর রাখতে পারেন। কারণ শপিং করতে করতে ইফতারের সময় হয়ে গেলে খাবার দোকানগুলোতে যায়গা পাওয়া যায়না সব সময়।
২১) যেখান থেকে কেনাকাটা করবেন সেই দোকানের কার্ড নিয়ে আসবেন। তাহলে পরবর্তীতে কোন সমস্যা হলে দোকান খুজে পেতে সমস্যা হবে না।